হাড় মজবুত রাখতে রোজ একবাটি করে টকদই খাচ্ছেন তো?

টকদই খাচ্ছেন তো

মিষ্টি দই খেতে খুবই ভাল। এছাড়াও হিন্দু ধর্মে মিষ্টি দই হল শুভর প্রতীক। যে কোনও শুভ কাজে পাতে যেমন দই মিষ্টি পড়ে তেমনই দই এর ফোঁটা দিয়ে যে কোনও ভাল কাজে যাওয়ার রীতি রয়েছে অনেকদিন ধরে। মিষ্টি দই অনেক রকম স্বাদে পাওয়া যায়। লাল ডালডা দেওয়া মিষ্টি দই খেতেও লাগে দারুণ। তবে স্বাস্থ্যকর হিসেবে বরাবরই টকদই এর ভূমিকা অনেক বেশি। বাড়িতে পাতা টকদই হলে তো কথাই নেই। টকদই যেমন শরীরের জন্য ভাল তেমনই একাধিক রান্নাতেও ব্যবহার করা হয় এই টকদই। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য যে পুষ্টির প্রয়োজন হয় তার জোগান দিতে পারে চকদই। এছাড়াও টকদই এর মধ্যে থাকে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ। দুপুরে ভাতের সঙ্গে একবাটি করে টকদই খেতে পারেন। াবার ব্রেকফাস্টেও খেতে পারেন। অনেকে মুজলি বা ওটস টকদই দিয়ে খান। কেউ কেউ রুটির সঙ্গে একবাটি রায়তা খান। এই রায়তার মূল উপকরণও হল টকদই। মোটকথা শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিনের জোগান দেয় এই টকদই।

পেটের জন্য টকদই খুব উপকারী হলেও খাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। অতিরিক্ত টকদই খেলে সেখান থেকে হতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা।

শরীরে কোষের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন রয়েছে প্রোটিনের। প্রতিদিন একবাটি করে দই খেলে পেশী, ত্বক, চুল, নখ এসব ভাল থাকে। তাই প্রতিদিন প্রোটিন খাওয়া জরুরি। ১০০ গ্রাম টকদই এর মধ্যে থাকে ১১.১ গ্রাম প্রোটিন।

দই এর মধ্যে থাকে ভরপুর ক্যালশিয়াম। যা আমাদের হাড় গঠনের জন্য ইপরিহার্য। ক্যালশিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষইতে শুরু করে। আর তাই রোজ দই খেলে এই সমস্যা থাকে না।

ভিটামিন বি ১২ স্নায়ু, মস্তিষ্ক, রক্তের জন্য অপরিহার্য। দুধ থেকে তৈরি হয় দই, আর দই এর মধ্যে থাকে ভিটামিন বি ১২। যে কারণে টকদই দিয়ে রান্না করলে সেই খাবারের স্বাদ বাড়ে। এছাড়াও হজম ভাল হয়, রান্না করতে তেলও লাগে অনেকটা কম। দই আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়। যাঁদের শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি রয়েছে, অল্পেই দুর্বল হয়ে যান সঙ্গে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু নিয়ম করে টকদই খান। প্রয়োজনে টকদইতে সামান্য নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার দই-জাগেরি পাউডার মিশিয়ে খেলেও ভাল কাজ হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *