Diet For Winter: শীতের দিনে সুস্থ থাকতে এই ৪ সবজি নিয়মিত খাওয়ার নিদান আয়ুষ মন্ত্রকের, আপনিও মেনে চলুন

শীতের দিনে সুস্থ থাকতে এই ৪ সবজি নিয়মিত

Health Tips: শীতে বাজারে যেমন প্রচুর গাজর আসে তেমনই দামও থাকে কম। আর গাজর শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিটরুটের মধ্যেও থাকে ফোলেট। আর তাই পেশি, হার্ট এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে খান শীতের এই দুই সবজি

শীতে অনেক রকম শারীরিক সমস্যা এসে উদয় হয়। হজমের গোলমাল, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ছাড়াও ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি এসব তো লেগেই থাকে। শীতের দিনে বাজারে প্রচুর রকম সবজি পাওয়া যায়। অধিকাংশই রঙিন সবজি আর এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। শীতের সবজির মধ্যে গাজর, বিট, মূলো, বিনস, নানা রকম শাক, মিষ্টি আলুর পাশাপাশি রয়েছে করলা। এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে পটল। তবে খুব শীতে আবার পটল ভাল পাওয়া যায় না। তবে যে কদিন পটল পাওয়া যাচ্ছে সেই কয়েকদিন চুটিয়ে খেয়ে নিন। কারণ পটলের মধ্যে একাধিক উপকারিতা রয়েছে। পটলে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, কপার, ডায়েটরি ফাইবার। এছাড়াও পটলের মধ্যে ক্যালোকি একেবারেই থাকে না। যে কারণে তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

এছাড়াও শীতের সবজির মধ্যে রয়েছে করলা। নিয়মিত করলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনও সমস্যা আসে না। এছাড়াও করলা হার্টের জন্য খুব ভাল। নিয়মিত করলা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। সেই সঙ্গে রক্ত পরিষ্কার হয়। ত্বক, চুল, পেট ভাল থাকে, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়।

কচুও খান এই সময়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যের যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে কচু। শীতের সময় প্রচুর মূলোও পাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে দেখে নিন যে তা হজমে কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা। কচুতে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৫, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। যে কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হজমের সমস্যা ঠেকাতেও কার্যকরী কচু।

 

শীতে বাজারে যেমন প্রচুর গাজর আসে তেমনই দামও থাকে কম। আর গাজর শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিটরুটের মধ্যেও থাকে ফোলেট। আর তাই পেশি, হার্ট এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে খান শীতের এই দুই সবজি।

আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে আরও একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শীতে জল খাওয়ার আগে গরম করে খান। আবার পেটের কোনও সমস্যা থাকলে জল ফুটিয়ে খান। ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে জল ঠান্ডা করে নিন। এই জল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও আমলার জুস খেতে পারেন গরম জলে মিশিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *