Healthy Fasting: নিয়মিত ভাবে উপোস করলে শরীর ভাল থাকে। যে কারণে অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। উপোস রাখার যতটা ধর্মীয় গুরুত্ব আছে, তার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব রয়েছে। বিজ্ঞানের মতে, উপোস রাখলে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
হিন্দু ধর্মে উৎসব উপলক্ষে উপোস রাখার প্রথা রয়েছে। উৎসবে উপোস রাখাকে হিন্দুধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে উপোস করলে ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ পাওয়া যায় এবং একজন ব্যক্তি পুণ্য লাভ করেন। উপোস রাখাও রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম, যা মেনে চলা খুবই জরুরি। উপোস রাখার নিয়ম যথাযথভাবে পালন না করলে শুভ ফল পাওয়া যায় না। আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় অনেকেই সারাদিন উপোস রেখে সন্ধ্যায় পুজো করবেন। এছাড়াও দুর্গাপুজোর অষ্টমী, সন্ধিতেও অনেকে উপোস রেখে পুজো দিয়েছেন। যদিও শাস্ত্রে কোথাও বলা নেই যে উপোস করেই পুজো দিতে হবে। নিজের মন যেমন চাইবে সেই ভাবেই আরাধনা করুন। তবে উপোস করে থাকলে একটানা অনেক কাজ করা যায়।
তবে উপবাস শরীরের জন্য খুবই ভাল। নিয়মিত ভাবে উপোস করলে শরীর ভাল থাকে। যে কারণে অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। উপোস রাখার যতটা ধর্মীয় গুরুত্ব আছে, তার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব রয়েছে। বিজ্ঞানের মতে, উপোস রাখলে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উপবাসে খাবার খাওয়া হয় না, সারাদিন কিছু জলখাবার খেয়েই কাটে, যার ফলে ব্যক্তির পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা সবল থাকে। পাশাপাশি শরীরে স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, যার ফলে ব্যক্তির শরীর সুস্থ থাকে। তবে উপোস করলে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
উপবাসের পর সঙ্গে সঙ্গে কোনও মিষ্টি খাওয়া যাবে না। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। নইলে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা থেকে যাবে। এছাড়াৈও যে দিন উপোস রাখবেন সেদিন উপবাস ভেঙে তেল মশলাদার খাবার খাবেন না। খালি পেটে কাটা ফল এড়িয়ে যয়াওয়াই শ্রেয়। যত বেশি ফলের রস, জল, ডাবের জল খাবেন এতেই শরীর থাকবে সুস্থ আর সেই সঙ্গে এনার্জিও পাবেন। নিয়ম করে উপোস রাখলে অন্ত্রের জন্য খুব ভাল। তাই সপ্তাহে অন্তত দু দিন উপোস রাখার চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকবেন। খিচুড়ি না খেয়ে লুচি খান, লক্ষ্মী পুজোর উপবাসের পর সবথেকে ভাল চিঁড়ে, খই, মুড়কি, বাতাসা, ফল খেয়ে থাকা।